বিবর্তনের আর্কাইভ
দাবীর উত্তর
বেশিরভাগ লোক বিবর্তনে বিশ্বাস করে না
১) অধিকাংশ মানুষ কোন কিছু করলেই বা মানলেই সেটা বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য হয়ে যায় না। বিজ্ঞান কোন রাজনৈতিক ময়দান নয় যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কোন কিছু নির্ধারিত হবে। বিজ্ঞান কাজ করে পরীক্ষালব্ধ প্রমাণে। বিবর্তনের পেছনে সাক্ষ্যপ্রমাণ অজস্র এবং প্রকৃতিতে এবং ল্যাবে নানাভাবে বিবর্তনের সত্যতা পর্যবেক্ষিত হয়েছে। তারপরেও কেউ না মানলে সেটা তার সমস্যা, বিজ্ঞানের নয়।
২) আমেরিকায় বিবর্তনে অবিশ্বাসের মূল কারণ অর্থ-পুষ্ট রক্ষণশীল মহলের নির্লজ্জ প্রচারণা[1]। তারপরেও বিবর্তনের উপর আস্থা সেখানেও ক্রমবর্ধমান। গত পঞ্চাশ বছর আগে যত লোক বিবর্তনে বিশ্বাস করত, তার চেয়ে অনেক বেশি লোক এখন বিবর্তনে বিশ্বাস করে। আর ইউরোপ সহ বহু জায়গাতেই অধিকাংশ লোক বিবর্তনকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে। ভবিষ্যতের পৃথিবীতে সেটা আরো ভালভাবে দৃশ্যমান হয়ে উঠবে।
৩) একটা সময় পৃথিবীর অধিকাংশ লোকই বিশ্বাস করত পৃথিবীটা সমতল, কিংবা সূর্যই পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে ইত্যাদি। গ্যালিলিও কিংবা ব্রুনোর মত দু’একজন বিজ্ঞানীই কেবল বিপরীতটা বিশ্বাস করতেন। কিন্তু সেজন্য ‘অধিকাংশ মানুষের বিশ্বাস’ই সত্য হয়ে যায় নি। সারা দুনিয়া জুড়ে এখনো অধিকাংশ মানুষই বৈজ্ঞানিক চিন্তায় যত না বিশ্বাস করে তার চেয়ে বেশি করে জ্বিন, ভুত, পরী, প্ল্যানচেট, আল্লাহ, ভার্জিন বার্থ, শয়তান, এলিয়েন প্রভৃতিতে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে বলেই সেগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য হয়ে যায় না। বরং বোঝা যায়, পৃথিবী জুড়ে অধিকাংশ মানুষই এখনো যুক্তি দিয়ে চিন্তা করতে অক্ষম।
৪) সংখ্যাগরিষ্ঠের দোহাই দিয়ে আর্গুমেন্টে জিতার চেষ্টা একটি ফ্যালাসি বা হেত্বাভাস। এর নাম Argumentum ad populum। প্রাসঙ্গিক আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ হেত্বাভাস হল – Argumentum ad numerum।
প্রাসঙ্গিক দাবী: