বাংলা ব্লগ

বিবর্তনের আর্কাইভ

বিবর্তন ব্লগ

মুক্তমনা কি?

প্রজেক্ট

ইবই

সাহায্য


  ভ্রান্ত ধারণা

 

বিবর্তন প্রাণের উপত্তি ব্যাখ্যা করতে পারে না

 

১)  বিবর্তন তত্ত্ব প্রাণের উপত্তির উপর নির্ভরশীল নয়। এ প্রসঙ্গে পড়ুন আর্কাইভ থেকে অজৈবজনি (Abiogenesis) ছাড়া বিবর্তন তত্ত্ব অচল এই দাবীর উত্তর। বিবর্তন কাজ করে মূলতঃ প্রাণের উপত্তির পর থেকে কিভাবে তার বিকাশ ঘটেছে, কিভাবে নতুন নতুন প্রজাতির উদ্ভব হয়েছে  তা নিয়ে কাজেই বিবর্তন প্রাণের উপত্তি ব্যাখ্যা করতে পারে না বলে প্রচার করা হয় তা অপ্রাসঙ্গিক হেত্বাভাস (Red Herring Fallacy) দোষে দুষ্ট।

 

২)  বিবর্তন প্রাণের উপত্তি নিয়ে সরাসরি কাজ না করলেও, বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায়  এ নিয়ে সাফল্যজনক গবেষণা হয়েছে।  এর মধ্যে অজৈবজনির (Abiogenesis) গবেষণা উল্লেখযোগ্য। এই তত্ত্বে মনে করা হয়, রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আদিম পরিবেশে অজৈব (জড়) বস্তু হতে পৃথিবীতেই জীবনের উপত্তি হয়েছে।  তাই এই তত্ত্বের অপর নাম জীবনের রাসায়নিক উপত্তি তত্ত্ব (Chemical theory of origin of life)।   আজ পৃথিবীর অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা  এই তত্ত্বটিকেই সঠিক বলে মেনে নিয়েছেন[1],[2]

 

৩) জীবনের রাসায়নিক উপত্তি তত্ত্বের প্রবক্তা ছিলেন রুশ প্রাণরসায়নবিদ আলেক্সান্দার ওপারিন[3] এবং আমেরিকান বিজ্ঞানী জে.বি.এস হালডেন[4]। ওপারিন আর হালডেন তাদের গবেষণায় দেখিয়েছেন যে,  সাড়ে চারশ কোটি বছর আগেকার পৃথিবী কিন্তু কোন দিক দিয়েই আজকের পৃথিবীর মত ছিল না।  তাদের মতে, আদিম বিজারকীয় পরিবেশে একটা সময় এসব গ্যাসের উপর উচ্চশক্তির বিকিরণের প্রভাবে নানা ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থের উদ্ভব হয়। এগুলো পরবর্তীতে নিজেদের মধ্যে বিক্রিয়ার মাধ্যমে আরো জটিল জৈব পদার্থ উপন্ন করে। এগুলো থেকেই পরবর্তীতে ঝিল্লি তৈরী হয়। ঝিল্লিবদ্ধ এসব জৈব পদার্থ বা প্রোটিনয়েড ক্রমে ক্রমে এনজাইম ধারণ করতে থাকে আর বিপাক ক্রিয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। এটি একসময় এর মধ্যকার বংশগতির সংকেত দিয়ে নিজের প্রতিকৃতি তৈরী করতে ও বা পরিব্যক্তি বা মিটেশন ঘটাতে সক্ষম হয়। এভাবেই একটা সময়  তৈরী হয় প্রথম আদি ও সরল জীবনের।  ওপারিন এবং হালডেন তত্ত্বের বহু স্তরই পরবর্তী গবেষকদের পরীক্ষালব্ধ গবেষণায় (Urey–Miller, 1953[5], 1959[6] Fox 1960[7]; Fox and Dose 1977[8], Cairn-Smith 1985[9], de Duve 1995[10], Russell and Hall 1997[11]; Wächtershäuser 2000[12], Smith et al. 1999[13], Huber et al. 2003[14]) সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

 

৪) রাসায়নিক প্রক্রিয়ায়  শুধু পৃথিবীতে নয়, মহাকাশের অনেক তারা, ধুলি মেঘ, মহাশূন্য ও আবহাওয়ামন্ডলে অজৈব পদার্থের অণু থেকে জটিল জৈব মনোমার গঠনের বহু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে[15] যেমন, ইউরোপীয় মহাকাশ এজেন্সির গিয়োটো মহাশূন্যযান ১৯৮৬ সালে হ্যালির ধূমকেতুর অভ্যন্তরে চিনি, অ্যালডিহাইড, অ্যালকোহল, এবং এসিডের সমন্বয়ে গঠিত ফরমালডিহাইডের পলিমারের সন্ধান গেছেআবার আকাশ থেকে পড়া অনেক উল্কাপিন্ডেই সময় সময় নানা ধরনের জটিল জৈব যৌগের সন্ধান পাওয়া গেছেচাঁদ থেকে নিয়ে আসা শিলাখন্ডেও খুব সামান্য পরিমানে হলেও ছয়টি পরিচিত সাধারণ এমিনো এসিডের খোঁজ পাওয়া গেছেএমনকি এই পৃথিবী পৃষ্ঠেই দেখা গেছে নির্বাত প্রক্রিয়ায় আগ্নেয়গিরির গ্যাসের মধ্যকার ধাতব কার্বাইড আর উত্তপ্ত গলিত লাভা পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোকার্বন তৈরী করছে[16]

 

৫) শিকাগো বিশ্ববিদালয়ের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রসায়নবিদ হ্যারলড সি. ইউরে (Harld C. Urey) এবং তাঁর গ্রাজুয়েট ছাত্র স্টেনলি এল. মিলার (Sanley L. Miller) মিলে ওপারিনের রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবন উদ্ভবের অনুকল্পটি সঠিক কিনা যাচাই করে দেখতে সচেষ্ট হলেনমিলার ১৯৫৩ সালে একটি বায়ু নিরোধক কাঁচের ফ্লাস্কে  আদি পৃথিবীর পরিবেশের একটা নকল  দশা তৈরী করেনতিনি আগেই পাম্প করে এর ভিতর থেকে বাতাস বের করে নেনতারপর সংযুক্ত ফ্লাস্কের পানি ফুটিয়ে জলীয় বাষ্প তৈরী করেনএকটি বড় পাঁচ লিটার ফ্লাস্কে হাইড্রোজেন, মিথেন ও অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রবেশ করান।  সেখানে ওই আগের ফুটন্ত জলীয় বাষ্প এসে মিশে যায়এবার তিনি মিশ্রণে বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালু করেনবিক্রিয়াজাত গ্যাসগুলোকে শীতকের সাহায্যে ঘনীভূত করা হয়, এবং তারপর সেগুলো বিশ্লেষণ করা হয়

 

 

প্রকৃতিতে প্রাপ্ত ২০টি অ্যামাইনো এসিডের মধ্যে ইউরে মিলারের প্রথম পরীক্ষাতেই ৯ টি অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়এগুলো হচ্ছে (১) গ্লাইসিন, (২)এলানি, (৩) আলফা- অ্যামাইনোবুট্রায়িক এসিড, (৪) আলফা- অ্যামাইনোসোবুট্রায়িক এসিড, (৫) বিটা-এলানি, (৬) এম্পারটিক এসিড, (৭) গ্লুটামিক এসিড, (৮) সারকোসিন, এবং (৯) এন-মিথাইল এলানিনএছাড়াও তৈরী হয় এলডিহাইড ও কিটোন

 

পরবর্তী সময়ে মিলার ও ইউরে (১৯৫৫), মিলার ও ওর্গেল (১৯৭৪), মিলার (১৯৮৭) একই  পদ্ধতিতে ২০টির মধ্যে ১৮ টি জৈব এসিড এভাবে তৈরী করেছিলেনতাদের পরীক্ষাই সর্বপ্রথম প্রমাণ করে ওপারিনের অনুকল্প সঠিক; অর্থা, আদিম বিজারকিয় পরিবেশে সত্যই অজৈব পদার্থ থেকে জৈব পদার্থের উন্মেষ ঘটেছিলএ আবিষ্কারের জন্য  ইউরে (দ্বিতীয়বার) এবং মিলার নোবেল পুরস্কার লাভ করেন

 

 

৬) সিডিনী ফক্স ইউরে-মিলারের পরীক্ষার ফলাফলকেই পরবর্তীতে আরো বিস্তৃত করেন।  মিলারের পরীক্ষায় পাওয়া অ্যামাইনো এসিড, আ্যাসপারটিক আর গ্লুটামিক এসিডগুলোকে নিয়ে অধ্যাপক  ফক্স  উত্তপ্ত করলেন - ১৩০ থেকে ১৫০ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রায়; ফলে প্রোটিনের মত একটি দ্রব্য উপন্ন হল  এর নাম দেওয়া হল তাপীয় প্রোটিনয়েডএটি অনেক দিক দিয়েই প্রকৃতিতে পাওয়া প্রোটিনের মত।   অধ্যাপক ফক্স,  এই সব প্রোটিনয়েডকে পানিতে সিদ্ধ করে ঠান্ডা করে  পেলেন অনেকটা আদি কোষের মত দেখতে ঝিল্লিবদ্ধ প্রোটিনয়েড মাইক্রোস্ফিয়ার[17]অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখলে এগুলোকে একেবারে আদি কোষের মত দেখায়; শুধু তাই নয় - ল্যাবরেটরীতে উপন্ন এই মাইক্রোস্ফিয়ার গুলোকে কৃত্রিম ভাবে জীবাশ্মে পরিণত করেও দেখা গেছে প্রায় তিনশ কোটি বছর আগেকার প্রাথমিক জীবাশ্ম গুলোর সাথে এর অবিকল মিল!  শুধু তাই নয়,  এরা বৈদ্যুতকভাবে সক্রিয়, যারা দ্রবণের মধ্যে প্রটিনয়েড শোষন করে ‘বৃদ্ধিপ্রাপ্ত’ হয়, ইস্ট বা ব্যাকটেরিয়ার মতো নড়াচড়া করে এবং অঙ্কুরিত হয়এদের অসমোটিক এবং সিলেকটিভ ডিফিউশনমূলক ধর্ম আছে, যা কেবল জীবিত কোষেই দেখা যায়

 

৭)  সিডনী ফক্সের গবেষণা ছাড়াও ক্লে ক্রিস্টাল[18],  আয়রন -সালফার ওয়ার্ল্ড[19], [20], পলিমারাইজেশন[21], এবং এমার্জিং হাইপারসাইকেল[22], [23], [24] প্রভৃতি গবেষণা উল্লেখযোগ্যএ গবেষকদের সকলেই দেখিয়েছেন আদিম পরিবেশে জড় পদার্থ থেকে ধাপে ধাপে সরল জীবের এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে জটিল জীবের উন্মেষ কোন অসম্ভাব্য ব্যাপার নয় এ ছাড়া সম্প্রতি ক্রেগ ভেন্টর  তার সিন্থেটিক লাইফের গবেষণা থেকে প্রথম কৃত্রিম জীবকোষ তৈরি করতে সমর্থ হয়েছেন[25]

 

 

৮) প্রোক্যারিওট বা আদিকোষের যখন উদ্ভব ঘটেছিল তখন তাদের বিবর্তন হচ্ছিল বিভিন্ন রূপেকোনটার হয়তো চলফেরা করার জন্য সুগঠিত ফ্লাজেলা ছিল, কোনটা হয়ত ছিল বাতাস থেকে অক্সিজেন নেওয়ার ব্যাপারে পারদর্শী, আবার কোনটার শরীরে হয়ত ছিল ক্লোরফিলকোন এক সময়ে চলমান একটা প্রোক্যারিওট হয়তো কোন একভাবে এসে মিশেছিল অক্সিজেনবাহী প্রোক্যারিওটের সাথে অথবা ক্লোরফিলবাহী একটা প্রোক্যারিওটের সাথে, কিংবা হয়ত একসঙ্গে দুটোর সাথেইএই রকম মেশামেশির ফলে যে জিনিসটা তৈরী হল তা পারিপার্শ্বিক অবস্থার মোকাবেলায় একক প্রোক্যারিওটের চেয়ে অনেক দক্ষ হবেসংঘবদ্ধ হলে যে দক্ষতা বাড়ে তা তো শুধু জৈব জগতে নয়, সামাজিক জীবনেও প্রমাণিতপিঁপড়ের ঢেলা, উইয়ের বাসা কিংবা মৌমাছির চাকগুলোর দিকে তাকালে  সংঘবদ্ধতার উকর্ষতা হাতে নাতে পাওয়া যাবে।  গরিলা কিংবা হাতীর মত স্তন্যপায়ী জীবেরা যে দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করে দক্ষতা বাড়িয়ে তোলে তা বলাই বাহুল্যআর সংঘবদ্ধতার শ্রেষ্ঠতম নমুনা তো আমাদের মানব সমাজকাজেই সংঘবদ্ধতার কারণেই প্রোক্যারিওটদের উপনিবেশগুলোই টিকে থাকলো আর বাড়বাড়ন্ত হলো এদের

 

এ ধরনের প্রক্রিয়া থেকেই আজ থেকে ১৪০ কোটি বছর আগে বিভিন্ন রকমের প্রোক্যারিওটের সংমিশ্রনে ইউক্যারিওট বা প্রকৃতকোষী জীবের উদ্ভব ঘটেইউক্যারিওটীয় কোষগুলো যে বহু প্রোক্যারিওটীয় কোষের সমষ্টি তা লিন্‌ মাগোর্লিস  তার গবেষণায় খুব ভালভাবে দেখিয়েছেন[26]।  ধারণা করা হয় প্রোক্যারিওটরা একে অপরের সাথে জুড়ে জুড়ে যখন ক্রমশ বড় থেকে আরো বড় কোষ তৈরী করেছিল, তখন তাদের আয়তন ও জেনেটিক পদার্থের পরিমান গিয়েছিলো বেড়েদেখা গেল ক্রোমোজোমগুলো গোটা কোষের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে কোষ বিভাজন ঘটা মুশকিলতাই যে সব মিশ্রিত-প্রোক্যারিওটগুলোর ক্রোমাটিন ছোট নিউক্লিয়াসে কেন্দ্রীভূত ছিল প্রকৃতি তাদের বাড়তি সুবিধা দিল-ফলে তারাই সে সময় ভালভাবে টিকেছে এবং কালের ধারাবাহিকতায় একসময় মিশ্রিত-প্রোক্যারিওটগুলো পরিণত হয়েছে ইউক্যারিওটে

 

৯) উপরিল্লিখত গবেষণাগুলোর বাইরেও প্রাণের উপত্তি নিয়ে প্যানস্পারমিয়া সংক্রান্ত গবেষণা উল্লেখ্য।  এই তত্ত্ব মনে করে পৃথিবীর প্রথম প্রাণের বীজ এসেছিলো মহাশূন্য থেকেউনবিংশ শতকের শেষার্ধে যখন স্বতঃজননবাদ গ্রহনযোগ্য বিবেচিত হচ্ছিল না, তখন প্রাণের উপত্তির পেছনে অন্য একটি অনুকল্প প্রস্তাবিত হয়তার মূল কথা হল জীবনের প্রথম আবির্ভাব হয়েছিল মহাবিশ্বে[27]সেখান থেকে পৃথিবীতে জীবন এসেছে বীজ বা স্পোর আকারে[28]

 

তবে, প্রাণের বীজ পৃথিবীর বাইরে বা মহাশূন্য থেকে এলে সেই বীজটি মহাশূন্যেই বা কিভাবে তৈরি হল সেটা অবশ্য প্যানস্পারমিয়া ব্যাখ্যা করতে  পারে না।  স্রেফ পৃথিবীতে সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না বলে একধাপ পেছনে গেলে তো আর সেটা প্রকৃত সমাধান নয় বলে অনেকেই মনে করেন[29] তবে এ নিয়ে গবেষণা চলছে।

 

উপরের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, প্রাণের উপত্তি ব্যাখ্যা করতে না পারার দাবী মোটেই সঠিক নয়। সমালোচনাকারীদের কেউ ব্যক্তিগতভাবে প্রাণের উপত্তির বৈজ্ঞানিক ধারনাগুলো সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল না হতে পারেন, কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত অক্ষমতাকে বিজ্ঞানের ঘারে চাপানো 'আর্গুমেন্ট ফ্রম ইগনোরেন্স' কিংবা 'গড ইন গ্যাপস' হেত্বাভাষদোষে দুষ্ট। মুক্তমনায় রাখা মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে  বইয়ে প্রাণের উপত্তি নিয়ে দীর্ঘ বৈজ্ঞানিক আলোচনা করা হয়েছে।  পাশাপাশি নিম্নলিখিত বইগুলোতেও পাঠকেরা প্রাসঙ্গিক আলোচনার খোরাক পাবেন :

 

  • Emergence of Life on Earth: A Historical and Scientific Overview, Iris Fry Rutgers University Press; (February 1, 2000)

 

  • Life’s Origin: The Beginnings of Biological Evolution J. William Schopf , University of California Press; 1 edition (October 7, 2002)

 

  • Vital Dust: The Origin And Evolution Of Life On Earth, Christian De Duve, Basic Books (December 22, 1995)

 

  • Evolution: The First Four Billion Years, Michael Ruse, Belknap Press of Harvard University Press; 1 edition (February 28, 2009)


 

[1] অভিজি রায় এবং ফরিদ আহমদে,মহাবিশ্বের প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে, অবসর, ২০০৭ (পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত ২০০৮)

[2] ড. ম. আখতারুজ্জামান, বিবর্তনবিদ্যা, বাংলা একাডেমী (১৯৯৮);  ২য় সংস্করণ, হাসান বুক হাউস (২০০৪)

[3] Oparin, A. I., Origin of Life. New York: Dover, 1952

[4] Haldane JBS, The Origins of Life, New Biology, 16, 12–27 (1954).

[5] Miller, Stanley L., "Production of Amino Acids Under Possible Primitive Earth Conditions" Science 117 (3046): 528, 1953

[6] Miller, Stanley L.; Harold C. Urey, "Organic Compound Synthesis on the Primitive Earth". Science 130 (3370): 245, 1959

[7] Fox, S. W. How did life begin? Science 132: 200-208, 1960.

[8] Fox, S. W. and K. Dose. Molecular Evolution and the Origin of Life, Revised ed. New York: Marcel Dekker, 1977.

[9] Cairn-Smith, A. G. Seven Clues to the Origin of Life, Cambridge University Press, 1985.

[10] de Duve, Christian, The beginnings of life on earth. American Scientist 83: 428-437, 1995

[11] Russell, M. J. and A. J. Hall, The emergence of life from iron monosulphide bubbles at a submarine hydrothermal redox and pH front. Journal of the Geological Society of London 154: 377-402,  1997.

[12] Wächtershäuser, Günter, Life as we don't know it. Science 289: 1307-1308, . 2000.

[13] Smith, J. V., F. P. Arnold Jr., I. Parsons, and M. R. Lee. 1999. Biochemical evolution III: Polymerization on organophilic silica-rich surfaces, crystal-chemical modeling, formation of first cells, and geological clues. Proceedings of the National Academy of Science USA 96(7): 3479-3485.

[14] Huber, Claudia, Wolfgang Eisenreich, Stefan Hecht and Günter Wächtershäuser. 2003. A possible primordial peptide cycle. Science 301: 938-940.

[15] Spotts, Peter N. 2001. Raw materials for life may predate Earth's formation.

[16] অভিজি রায় এবং ফরিদ আহমদে,মহাবিশ্বের প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে, অবসর, ২০০৭ (পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত ২০০৮)

[17] Fox, S. W. 1960. How did life begin? Science 132: 200-208.

[18] Cairn-Smith, A. G. 1985. Seven Clues to the Origin of Life, Cambridge University Press.

[19] Russell, M. J. and A. J. Hall. 1997. The emergence of life from iron monosulphide bubbles at a submarine hydrothermal redox and pH front. Journal of the Geological Society of London 154: 377-402.

[20] Wächtershäuser, Günter. 2000. Life as we don't know it. Science 289: 1307-1308.

[21] Smith, J. V., F. P. Arnold Jr., I. Parsons, and M. R. Lee. 1999. Biochemical evolution III: Polymerization on organophilic silica-rich surfaces, crystal-chemical modeling, formation of first cells, and geological clues. Proceedings of the National Academy of Science USA 96(7): 3479-3485.

[22] de Duve, Christian. 1995a. The beginnings of life on earth. American Scientist 83: 428-437

[23] M. Eigen, P. Schuster, The Hypercycle:A Principle of Natural Self-Organization, Springer Verlag, Berlin, 1979.

[24] Nelson, Kevin E., M. Levy and S. L. Miller. 2000. Peptide nucleic acids rather than RNA may have been the first genetic molecule. Proceedings of the National Academy of Science USA 97: 3868-3871.

[25] J. Craig Venter, Creation of a Bacterial Cell Controlled by a Chemically Synthesized Genome, Science DOI: 10.1126/science.1190719

[26] Lynn Margulis, Origin of Eukaryotic Cells, Yale University Press, 1971.

[27] Arrhenius, S., Worlds in the Making: The Evolution of the Universe. New York, Harper & Row, 1908.

[28] Crick, F. H.; Orgel, L. E. (1973), "Directed Panspermia", Icarus 19: 341–348

[29] অভিজি রায় এবং ফরিদ আহমদে,মহাবিশ্বের প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে, অবসর, ২০০৭ (পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত ২০০৮)

প্রশ্নোত্তরে বিবর্তন