স্বাধীনতার নেপথ্যের ইতিহাসঃ আমরা যাদের ভুলে গেছি -

নুরুজ্জামান মানিক

 

(যারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, েজর জিয়া'র ২৬ ও ২৭ মার্চ ১৯৭১ সালের ঘোষনার প্রেক্ষিতে বাঙ্গালী না থুক্কু বাংলাদেশী আমজনতা মুত্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারা এই লেখা পড়লে তাদের মুল্যবান সময় নষ্ট হতে পারে)  

৪) ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগের আবদুল আজিজ বাগমার এর নেতৃত্বে গড়ে উঠে "অস্থায়ী পূর্ব বঙ্গ (অপূর্ব )সরকার "নামে আরেকটি গোপন সংগঠন সংগঠক হিসেবে ছিলান ঢাবি ছাত্র খন্দকার বজলুল হক , শান্তি নারায়ণ ঘোষ (উভয়ে বর্তমানে ঢাবি'র শিক্ষক ) প্রাণেশ কুমার মন্ডল , হাবিবুর রহমান ও অন্যান্য উক্ত সংগঠনের সভাপতি ছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল আর সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ বাগমার উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত ছিলেন , ড আহমদ শরীফ, ড মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী , মুহম্মদ আবদুল হাই , শওকত ওসমান প্রমুখ। "স্বাধীনতার স্বপ্ন : উন্মেষ ও অর্জন " গ্রন্থ সুত্রে জানা যায় , অপুর্ব সংসদ ১৯৬৫ সালের ১ অক্টোবর "ইতিহাসের ধারায় বাঙলী"নামে একটি ইশতেহার প্রকাশ করে এবং এই ইশতেহারের রচয়িতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড আহমদ শরীফ ওই প্রবন্ধে স্বাধীন বাংলাদেশের যৌক্তিকতা ব্যাখার পাশাপাশি পুর্ব পাকিস্তান এর নাম "বাংলাদেশ " প্রস্তাব করা হয় ওই ইশতেহারের শেষের পৃষ্ঠায় "আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালবাসি "গানটির প্রথম চার লাইন উল্লেখ ছিল ( সুত্র , জাস্টিস হাবিবুর রহমান, প্রথম আলো ৪ ফেব্রুয়ারী ২০০০ , ড নেহাল করিম নিউ এজ ফেব্রুয়ারী ২৪,২০০৫ ) ড নেহাল করিম এর মতে, ভবিষ্যত বাংলাদেশের "জাতীয় সঙ্গীত" হিসেবে অধ্যাপক ড আহমদ শরীফ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ রচিত "আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালবাসি" গানটিকে নির্বাচন করেছিলেন (সুত্র , সমকাল ১৬ ডিসেম্বর ২০০৭ )

চলবে

প্রথম পর্ব