কার্টুন রঙ্গ

তানবীরা তালুকদার ও আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

বাক স্বাধীনতা হইতেছে কোন রকমের বিধিনিষেধ ছাড়া কথা বলার স্বাধীনতা । বাক স্বাধীনতা হইল মত প্রকাশের স্বাধীনতা। বাক স্বাধীনতা কোনো দাবী না এটা আমাদের অধিকার(under Article 19 of the Universal Declaration of Human Rights and Article 10 of the European Convention on Human Rights)। বাক স্বাধীনতা হইতেছে প্রাগৈতিহাসিক গুহা সভ্যতা থেকে মানব সভ্যতার আজকের এই উন্নতির পেছনে যে সমস্ত প্রভাব বিস্তারকারি আদর্শ সমুহ আছে তার অন্যতম একটা। বাক স্বাধীনতা এবং গনতন্ত্র একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। প্রায় সব দেশই বাক স্বাধীনতা কথা বলে যদিও প্রয়োগের মাত্রায় অনেক ব্যবধান। উন্নত ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে তাও কিছুটা আছে, আমাদের কিছুই নাই। আমাদের নাই রাজনীতি নিয়া কথা বলার স্বাধীনতা, নাই দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার স্বাধীনতা, নাই মাথামোটা সেচ্ছাচারী মিলিটারিদের অপকর্ম নিয়ে কথা বলার স্বাধীনতা, নাই পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে কথা বলার স্বাধীনতা, নাই সত্য কথা বলার স্বাধীনতা, নাই মত প্রকাশের স্বাধীনতা ।

 

ব্রিটিশ, পাকিস্তান এবং ৭১ পরবর্তি বাংলাদেশ সরকার কারো আমলেই দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না। স্বাধীন ভাবে সত্য কথা বললেই আপনি হয়ে যাবেন দেশোদ্রহী, ভারতের দালাল, “র” এর চর, দেশের ভাবমুর্তি (!!!) ক্ষুন্নকারি টিকটিকি। অবশ্য এরচেয়েও কড়া ডোজ আছে...সেইটা টের পাবেন যদি ধর্মের কোন ব্যপার নিয়া কিছু বলেন। এক ধাক্কায় কল্লার দাম বাইরা যাইবো কয়েক গুন। আর আপনি হইয়া যাবেন “কাফের”, “মুরতাদ”। দোযখে আপনারে কেমনে পোড়াইবো মহান (!!) আল্লাহতালা তার নমুনা মোল্লারা কুশপুত্তলিকা পোড়াইয়া চাক্ষুষ দেখাইয়া দিবো। জনতা ক্ষেইপা উঠব, রাজনীতিবিদরা মারতে আইব, বুদ্ধিজীবিরা/প্রফেসররা বানী দিব, পত্রিকাওয়ালারা ইন্দন দিবো, আর বিজ্ঞনীরা প্রমান কইরা দিব কোরানের কথাই ঠিক...”সুর্য মক্কার চারদিকে ঘুরে”।   

 

কিছুদিন আগে রাজনৈতিক অভিপ্রায়হীন (!!!) কেয়ারটেকার সরকার ঘরোয়া রাজনীতির অনুমতি দিয়েছে, শর্ত হইলো তাদের সমালোচনা করা যাইব না। এটাযে বাক স্বাধীনতা বিরুদ্ধে, আমাদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকারের বিরুদ্ধে এটা নিয়া কোন পত্রিকায় কোন লেখা দেখলাম না। রাজনৈতিক অভিপ্রায়হীন এই সরকারের কর্মকান্ড স্বার্থনেষী সরকারের কর্মকান্ডের চেয়ে ভয়ংকর। যদি তাদের কোন অভিপ্রায় না থাকে তারা কেন আমাদের মুখ চাইপা ধরতে আসে। কেন কথা বলা আর সমালোচনা করার অধিকার কাইরা নেয়। কেন তারা কোন সাহসী পদক্ষেপ নিতে পারে না। ধর্মান্ধতা আর কুসংস্কার মুক্ত সমাজব্যবস্থা, সুশিক্ষার প্রসার আর জনগনের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কোন পদক্ষেপ নেয়া তো দূরে থাক এরা পদে পদে আমাদের আরও পিছনে নিয়া যাইতেছে।  সরকার আমাদের অধিকার নিয়া ছিনিমিনি খেইলা আসতেছে। কখনো বই বাজেয়াপ্ত কইরা নিতেছে, কখন সত্য কথা বলার দায়ে মামলা কইরা দাবায়া রাখতেছে, রিমান্ডে নিয়া ঝাড়তেছে, পুলিশ দিয়া পিটাইতেছে। এরাই আবার গনতন্ত্রের কথা কয়, নির্বাচনের কথা কয়, আইনের শাষনের কথা কয়, মানবাধিকারের কথা কয়। কি রকম মিথ্যাচার...বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়া এরা মিথ্যা কয় আর আমাদের সত্য কইতে দেয় না।

 

মোল্লারাতো আরও কঠিন চিজ...এদের নীতি বইলা কোন পদার্থ নাই। এরা আল্লার নাম জিকির করে “ইয়া রাজ্জাক, ইয়া রাজ্জাক” (রাজ্জাক মানে রিজীকদাতা), তারপর মহল্লার মানুষ ঠিকমত বেতন না দিলে এক্ মসজিদ থেইকা আরেক মসজিদে চইলা যায় বেশী রিজীকের আশায়। ইছলামে নারী নেত্রিত্যের ব্যপারে নিষেধ থাকলেও এরা লম্বা লম্বা দাড়ি নিয়া সাদা বোরকা পইরা নেত্রির পায়ের কাছে মেও মেও করতে থাকে। রাজনীতিবিদেরা যখন তাদের খেয়াল খুশী মতো দেশ চালায়, লুটপাট করে তখন এরা প্রতিবাদ করে না..বরং পিছে পিছে থাকে এটো পাওয়ার আশায়। এরা জানে এদের দিন ফুরাইয়া আসতেছে, ধান্ধা বদলানোর দিন আইসা যাইতেছে, এরা জানে আল্লারে ডাইকা দুনিয়াতে কিছু পাওয়া যাইবনা, এরা জানে মানুষেরে ভয়ভীতি দেখাইয়া খাবার যোগার করা ছারা এদের কোন উপায় নাই। বাইচা থাকার ধান্ধায় এরা হইছে ধুর্ত এবং খল। গ্রামের চোরের সম্বল যেমন তেল আর শাবল, কশাইর যেমন ছুরি, মোল্লাদের সম্বলও তেমন কোরান আর মোহাম্মদ। বাক স্বাধীনতা হইল এদের প্রজাতির ক্যনসার...এরা ত সোচ্চার হইবই।

 

আমজনতার কথা আর কি বলব। তারচেয়ে উচ্চশিক্ষিতদের কথা বলি। প্রতিদিন ইয়াহু মেসেঞ্জারে প্রচুর ফরওয়ার্ড মেসেজ পাই। যারা পাঠায় তাদের বেশীরভাগ অনার্স/মার্স্টারস এর ছাত্র, টেলেকম/আইটি নিয়া পড়াশোনা করে। ডেনিশ যে কার্টুনিস্ট মোহাম্মদয়ের কার্টুন আকছিল সে নাকি আগুন লাইগা মারা গেছে (কই থেইকা জানছে কে জানে), আল্লা নাকি উচিত বিচার করছে, এইটা নিয়া কি উল্লাশ, ফরওয়ার্ড মেসেজ দিয়া আবার বলতেছে আমিও যেনো ফরওয়ার্ড করি..তাইলে নাকি সোয়াব হইব। একটা মানুষ আগুনে পুইরা মারা গেছে এর মধ্যে আনন্দের কি আছে? মুসলমান হইছে বইলা কি মানুষের মরন নিয়া ইতরামি করতে হইব। সারা দুনিয়ায় এতো অত্যাচার অনাচার চলে, আল্লা তাগো কিছু করে না, পোরাইআ মারে কার্টুন আকনেওয়ালাগো। বুশ যখন ইরাকে বোমা মারে, মোসলমান মারে পোরাইয়া তখন আল্লা কিছু করে না। শুধূ কার্টুন আকা সয়না আল্লার। ফরওয়ার্ড মেসেজ যারা পাঠায় তাদের অনেকে আবার সাইন্সের ছাত্র। এরা মনে করে কোরানেই সব কিসুর ফর্মুলা আছে আর ইহূদি নাছাড়ারা কোরান রির্সাচ কইরা সব পাইছে। তবে বাস্তবে এরা ফর্মুলার খোজে কোরান পড়ে না, পরে আম.আই.টির আর্টিকেল। বিটলামি দেখেন। এই সমস্ত ডিগ্রি ধারীদের থেইকা কি আশা করুম আমরা। এরাই কি আমাদের সভ্যতা আগাইয়া নিয়া যাইব!!!

 

সাধারন মানুষের ধারনা ইসলাম শান্তির ধর্ম, সম অধিকারের ধর্ম। এরা নবীর কাহিনী, ধর্ম প্রচারে নবীর ত্যাগ, মক্কা বিজয়ের পর নবী কিভাবে সবাইরে মাফ করা দিছে তা শুইনা কাইন্দা বুক ভাসায়। হায় মহাম্মদ, হায় মহাম্মদ করে। কিন্তু শিক্ষাটা নেয় না। মোল্লারা বয়ান করে নবী ধর্ম প্রচার করতে গিয়া কত কস্ট করছে। কত মারধর খাইছে। তারপরও তাদের মহান (!!!) নবী সবার জন্য দোয়া করছে যাতে আল্লা তাদের হেদায়েত করে। আর বাস্তবে দেখেন, সামান্য কার্টুন ছাপানোর প্রতিবাদে এরা কি করে। মুরতাদ আর কাফের ঘোষনাই করে না...যে তারে মাইরা ফেলতে পারবো তার জন্য পুরস্কারও প্রকাশ্যে ঘোষনা কইরা দেয়। এদের ভাব দেইখা মনে হয় নবী ঠেকায় পইরা হেদায়েতের দোয়া করছিল...লাঠির জোর ছিল নাতো...কি আর করব বেচারা। আহারে। মোল্লা বাহিনী যদি থাকত তখন।

 

প্রত্যেক যুগে কিছু মানুষ জন্মায়,  যারা ওই সময়ের প্রচলিত সমাজব্যবস্থারে আরো উন্নত করার জন্য কাজ করে। ইসলামিক ধারনা মতে, নবী যখন জন্মায় তখন আরবে ছিল অরাজক অবস্থা। হত্যা, লুটতরাজ আর মিথ্যাচারের সমাজে ইসলাম আসে আলোর প্রতিক হইয়া। উন্নত সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়া। ততকালিন সমাজব্যবস্থা, ধর্ম সবকিছু গুরাইয়া দিয়া এদের উত্থান। ইসলামের প্রথম যুগে এদের অনুসারি ছিল কম, এদের বিরূদ্ধে ছিল অনেকে। প্রথা ভেঙ্গে বের হওয়ার মত লোক কখনোই খুব বেশী আছিল না। তারপরও কিছু লোক প্রথা ভাংছে বইলাই ইসলাম আসছে। আজকে যারা জন্মসুত্রে মোসলমান...যারা পান থেইকা চুন খসলেই লাঠি নিয়া রাস্তায় নামে...তাদের নবী না বরং আবুযাহেলের উম্মত মনে হয়। তারাযে নবীর সহানসিলতা, মহানুভবতার কথা প্রচার করে, কই তাদের সেই আখলাক। বরং দেখেন আবুযাহেলের সাথে কি মিল এদের কাজকর্মে।

 

সত্য ও সুন্দরকে গ্রহন করার অক্ষমতা আজকে ইসলামিক দেশগূলোর এই অবস্থার জন্য দায়ী। বিগত ১৪০০ বছরে প্রতিদিন এই অক্ষমতার মাত্রা বারতেছে। নতুন কোন মত, কোন ধারনা, এমনকি কোন ত্রুটি নিয়ে সমালোচনারও উপায় নাই। যে কোরানকে মোসলমানরা তাদের পাথেও মনে করে, আশির্বাদ মনে করে, সেই কোরানই আজ তাদের গলার কাটা, সেই কোরানের জন্যই আজকে মোসলমানরা সব দিক থেকে সবার পেছনে। 

 

প্রথম আলোতে “নাম” নামক এক কার্টুন আকার দায়ে আরিফুর রহমান নামের ২০ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। কার্টুন ছাপাইয়া এখন প্রথম আলো মেও মেও করতেছে। বাক সাধীনতা গোল্লায় যাক, তাদের দরকার টাকা। তাছারা মোল্লাদের লাঠি তো আছেই।

আরিফুর রহমানের সেই কার্টুন যা নিয়া এত লাফালাফি করতেছে মোল্লারা বাংলাদেশে...

 <--------------------------

 

বেচারা আরিফুর, সাধারন একটা বিষয় নিয়া রঙ্গ কইরা এখন কোন ফাপরে পরছে। আমার স্পস্ট মনে আছে এই রকম জোকস আমি আগে আরও অনেক শুনছি। মোহাম্মদ বিড়ালের যায়গায় ছিল মোহাম্মদ টাকি মাছ, মোহাম্মদ মিস্টি কুমড়া ইত্যাদি।

 

তবে আরিফুরের পরিনতি দেইখা কার্টুন আকার ব্যাপারে এখন সবাই সাবধান হইয়া গেছে। আমাদের বন্দুকওয়ালা সরকার ঝিকে মাইরা বৌকে দারুন শিক্ষা দিছে। ছাত্র শিক্ষকের দিকে তাক করা নল এখন দিকে দিকে ঘুরছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরনের পর এখন সরকার সব ধরনের চিন্তাশীল আর সৃস্টিশীল কাজের পেছনে লাগছে।

 

“ আজ সৃস্টিসুখের উল্লাসে, মোর মুখ হাসে, মোর চোখ হাসে, মোর টগ বগিয়ে খুন হাসে, আজ সৃস্টি সুখের উল্লাসে...............নজরূল”

 

নজরুলের সৃস্টি সুখের উল্লাসে সৃস্তির দিন শেষ। এখন মুখ চাইপা ধরার দিন। শ্‌স্‌স্‌স্‌স্‌স্‌

 

কৌতুকের ভানু আর ভানুর বউয়ের ঝগড়ার মতো বলতে ইচ্ছা করে সরকার দাও, সরকার দাও, সরকার কেনো দেবে শুনি? হ্যা, সরকার কেনো দেবে? সংবাদপত্র, যাকে সমাজের আয়না বলা হয়, তারা যদি এইরকম সামান্য একটা ব্যাপারে নিজেদের বক্তব্য আর আদর্শ তুলে ধরতে না পারে তাহলে ধিক সেই সংবাদপত্র আর তার পাঠকদের। প্রথম আলোর মত একটা প্রতিষ্ঠিত, প্রথম শ্রেনীর পত্রিকা তাদের দায়দায়িত্ব স্বীকার করে কেন নিজের যায়গায় অটল থাকতে পারে না।

 বিড়ালকে মোহাম্মদ বিড়াল বলায় আতো তুলকালাম। আজকাল প্রতিদিনের জীবনে ধর্ম যোগ কইরা যেভাবে আরব দেশের আদিম জীবনযাপন পদ্ধতি জোর কইরা চাপাইয়া দেওয়া হইতেছে তাতে কয়দিন পর দেশে শুধু মোহাম্মাদ আর মোসাম্মতই থাকব, মানুষ থাকব না। তাছারা ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় নবী বেড়াল পছন্দ করতেন, আর বেড়ালের দাড়ি গোফ সবসময়ই ছিল, ইত্তেফাকওয়ালারা আলগা দাড়ির কি সংবাদ দিল বুঝলাম না।

 

তাহলে তারা কি জনগনের সেবায় নাই, তারা ছাপা কাগজের ব্যাবসা করে? পয়সা কামানোই

তাদের মূল উদ্দেশ্য আর অন্য কম্পিটিটরদের ব্যবসায়িকভাবে মাত দেয়া তাদের মূল লক্ষ্য।

আওমাজেত প্রতি তাদের কোন দ্বায়িত্ব নাই? পেশাগত মূল্যবোধ নাই? নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের প্রতি কন কর্তব্য নাই? নিজের পিঠ বাচাতে অধীনস্তদের জবাই করা? এরাই কি আমাদের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, যারা আমাদেরকে আগামী দিনের সোনালী ভোরের সপ্ন দেখায়? সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, ভূল কে ভুল, সঠিক কে সঠিক বলার স্টেন্ড নেওয়ার মত মেরূদন্ড কবে তৈরী হবে এ সমাজের? কি হতো প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ যদি এই ভারামো না করত? না হয় মোল্লারা তাদের পত্রিকা বর্জন করতো? আর্থিক ক্ষতি হয়তো নৈতিক ক্ষতিরচেও অপুরনীয়, কে জানে।  সংবাদ পত্র সমাজ সংস্কারের পথ প্রদর্শক, নৈতিকতার বাহক, এইগূলা হয়ত আজকের দিনের কাগজের মালিকদের কাছে অচল কথা। বৃটেনে আজো প্রকাশিত সংবাদের সূত্রের গোপনীয়তা প্রকাশের ব্যাপার নিয়া, নৈতিকতার চাপ সামলাইতে না পাইরা সাংবাদিক আত্মহত্যা করে আর বাংলাদেশে এতো বড় ঘটনায়, সূমন্ত আসলামের আন্যায় শাস্তিতে কনো সাংবাদিক টূ শব্দটাও করল না, প্রতিবাদ দূরে থাক। কার্টুনিস্টদেরও এমন ভাব যেন এতে তাদের কিছু যায় আসে না। সবাই আপন প্রান বাচাতে ব্যস্ত।

 

দুর্নিতিতে চাম্পিয়ন হবার সময় বা গনতান্ত্রের দাবীতে আন্দোলনের সময় মোল্লাদের না দেখা গেলেও নবী আর কোরানের ব্যপারে কিছু হইলেই এরা আসল চেহেরা নিয়া বাইর হইয়া আসে। কারন ধর্ম আর কোরান হইল এদের জীবিকার অবলম্বন। মাহফুজ আনাম আর মতিউরদের যেমন পত্রিকা। আদর্শগত বা নৈতিক দিক থেকে এদের সাথে রাজনীতিবিদ বা চোরাকারবারিদের কোনো তফাত নাই, তফাত সুধুই লেবাছে আর দাড়িতে। সত্য প্রকাশ, আন্ধাইরের আলো, আপোষহীন...নামেই যত বাহার...কামে নাই। হায় রে আমার বাক স্বাধীনতা।

 

আরিফুর রহমানের শুভকামনায়

 

তানবীরা এবং মামুন, ২০.০৯.২০০৭।